পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মাছের আঁইশের নানাবিধ ব্যবহারঃ

ছবি
মাছের আঁইশ বলতে আমরা সাধারণত মাছের উচ্ছিষ্ট অংশ বুঝে থাকি যা আমরা সচরাচর ফেলে দেই। কিন্তু এই আঁইশের নানাবিধ ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজ্ঞাত। মাছের আঁইশের কিছু আশ্চর্য করা ব্যবহার নিয়েই মূলত আজকের এই লেখা। শক্তি উৎপাদনঃ মাছের আঁইশের একটি গাঠনিক উপাদান হলো কোলাজেন ( Collagen) ফাইবার যার রয়েছে   bio-piezoelectric capacity অর্থাৎ এর উপর যখন কোন প্রকার বাহ্যিক চাপ বা শক্তি প্রয়োগ করা হয় তখন এর থেকে বৈদ্যুতিক চার্জ উৎপন্ন হয়। চীন ও জাপানে এই আঁইশ ব্যবহার করে  Bio-piezoelectric nanogenerator তৈরি করা হয় যেগুলো দ্বারা রিচার্জেবল ব্যাটারিতে চার্জ দেয়া যায়। তাছাড়া ঘরোয়া বিদ্যুৎ উৎপাদনেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে মাছের আঁইশ থেকে তৈরি এই Bio-piezoelectric nanogenerator থেকে তৈরি বিদ্যুৎশক্তি। ফার্মাসিউটিক্যালসঃ  মাছের আঁইশে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যামাইনো এসিড যেমনঃ Glycine, Proline, Hydroxy-proline যার কারনে মাছের আঁইশের পাওডার বিভিন্ন দেশে স্যুপের সাথে পুষ্টি প্রদায়ক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া  Collagen সমৃদ্ধ হওয়াতে কৃত্রিম কর্ণিয়া ও কৃত্রিম হাঁড় তৈরিতেও ব্যবহৃত হয় মাছের আঁইশ।  

বহিস্কৃত মাছ বা ট্র্যাশ ফিশ এর যথাথথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণঃ

ছবি
বর্তমানে সারা বিশ্বে মৎস্য উৎপাদনে শীর্ষদেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ সাল নাগাদ আমাদের এ অবস্থান হতে পারে আরো উন্নত। বিশাল সমুদ্রসীমার বেশিরভাগ অংশ অব্যবহৃত থাকা সত্ত্বেও সমুদ্রে মৎস্য আহরণের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশ ২৫ তম অবস্থানে। এত অর্জনের মধ্যেও দুঃখের ব্যাপার এই   যে, যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার অভাবে প্রতিবছর সমুদ্র থেকে আহরিত মাছের একটি বড় অংশ প্রায় ১০ লাখ টন অপচয় হয় যেগুলোকে ট্রাশ ফিশ নামে অভিহিত করা হয়। ট্রাশ ফিশ বলতে সাধারণত বোঝায়, সমুদ্র থেকে মাছ আহরণের সময় কাঙ্খিত দৈর্ঘ্যের চেয়ে ছোট যে মাছ বা জলজ প্রাণি কাঙ্খিত মাছের সাথে জালে উঠে আসে। এই ট্রাশফিশ হয়তো ফেলে দেয়া হয় সমুদ্রে বা ভাগারে না হয় খুব কম দামে বিক্রি করা হয় আঞ্চলিক বাজারে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, এই ট্রাশ ফিশ থেকে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যেমন চীন, জাপান, মালয়েশিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলোতে তৈরি করা হয় স্যুপ, ফিশ পেস্ট, ফিশ রোল, ফিশ বল সহ নানা জাতের দামি খাবার। আমাদের দেশের ব্যবসায়ী ও মৎস্য বিভাগে জড়িত ব্যক্তিরা যদি এই ব্যাপারে সুদৃষ্টি প্রদান করে তবে আমাদের দেশেও ট্রাশ ফিস ব্যবহার করে এই ধরণের পণ্য তৈরি ও

অপ্রচলিত মাৎস্যসম্পদের চাষই বদলে দেবে বাংলাদেশের অর্থনীতিঃ

ছবি
মৎস্যসম্পদের উন্নয়ন বলতে আমরা সাধারণত যা বুঝি তা হলো মাছ উৎপাদন ও মাছ চাষের সাথে জড়িত বিষয়সমূহের উন্নয়ন ও প্রসার। কিন্তু আমাদের দেশের এতো জলাভূমি, বিশাল সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকার যথাযোগ্য ও অর্থনৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে আমাদেরকে শুধু প্রচলিত মাছ চাষে সীমাবদ্ধ থাকলে হবেনা বরং দৃষ্টিপাত করতে হবে অপ্রচলিত মাৎস্যসম্পদ যেমন শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া, লবস্টার, স্কুইড চাষ এসব বিষয়ে। এর উল্লেখযোগ্য একটি কারণ হলো দেশের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের বিশাল রপ্তানিবাজার সৃষ্টি করা যেগুলো অর্থনীতির জন্য হবে বিশাল এক চালিকাশক্তি। যেসব মাৎস্যসম্পদ আমাদের দেশে খাদ্য হিসেবে খুব একটা প্রচলিত নয় যেমন উদাহারণ হিসেবে বলা যায় নরম খোলসের কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক ইত্যাদি পৃথিবীর অন্যান্য দেশে খুবই প্রচলিত ও উপাদেয় খাদ্য। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারতসহ আরো অনেক দেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য একটা যোগান আসে এই খাত থেকে। তাই এসব সম্পদের যথাযোগ্য চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ নিশ্চিত করতে পারলে তা আমাদের দেশের জন্য হয়ে উঠবে বৈদেশিক মুদ্রার এক অনন্য উৎস যা আমাদের অর্থনীতির চাকাকে করবে আর

একুয়াপনিক্সে বেল সাইফোনিং এর ব্যবহার ও সুবিধাঃ

ছবি
সাধারণত সাইফোনিং বলতে আমরা বুঝি কোন তরল পদার্থকে এর উৎস হতে বাঁকানো বা নমনীয় পাইপ বা টিউবের মধ্য দিয়ে কোনপ্রকার পাম্পের সাহায্য ছাড়া অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা। সহজ ভাষায় বলতে গেলে যখন পাইপ বা টিউবের এক প্রান্তে ভ্যাকুয়াম পাম্প বা মুখ দ্বারা বাতাস টেনে আনা হয় তখন একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় থাকা তরলের উৎসে রাখা পাইপের অন্যপ্রান্তে বায়ুচাপের শুণ্যতা অনুভূত হয়। সেই শুণ্যতাটি পূরণ করার জন্য উৎস থেকে তরল পদার্থ অভিকর্ষের বিরুদ্ধে পাইপে বাহিত হয়। তরলের অণুগুলোর চেইন আকারের বন্ধনযুক্ত হওয়াতে প্রবাহের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। তাছাড়া তরল পদার্থের কৈশিকতার ধর্মও এই পদ্ধতিতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে । প্রাচীন সভ্যতায় কৃষিকাজে সেচের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম স্টেশন, তেলের কারখানা সহ আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরলের স্থানান্তরের জন্য এই পদ্ধতিটি বহুল প্রচলিত। অ্যাকুরিয়াম ও মাছের ট্যাঙ্কের নিচে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করা হয় এই পদ্ধতিতেই। বেল সাইফোনিংঃ বেল সাইফোনিং হলো সাইফোনিং এর একটি প্রকারভেদ যেটি ব্যবহৃত হয় একুয়াপনিক্স সিস্টেমে

ঝিনুক থেকে মুক্তা তৈরির রহস্য.......

ছবি
মুক্তা যাকে ইংরেজিতে Pearl বলা হয় সবার কাছেই অতি আকর্ষণীয় ও মোহনীয় একটি জিনিস। বিশেষত মহিলাদের কাছে এতো এক পরম প্রিয় বস্তু। এই মুক্তা তৈরির প্রক্রিয়া সত্যি ই বিস্ময়কর । আমরা সবাই জানি যে ঝিনুকে মুক্তা তৈরি হয়। হ্যাঁ ঝিনুক যারা মলাস্কা (Mollusca) পর্বের অন্তর্গত একপ্রকারের প্রাণি ও দুটি খোলস থাকার কারণে তাদেরকে বাইভাল্ভ ( Bivalve ) শ্রেণির অধিভুক্ত বলে গণ্য করা হয়। মুক্তা উৎপাদনকারী ঝিনুকের মধ্যে Pinctada গণের ঝিনুক উল্লেখযোগ্য যাদের কে Pearl Oyster বলা হয়। তাছাড়া অন্যান্য কিছু মলাস্ক (Mollusc) থেকেও মুক্তা তৈরি হয়। ঝিনুকের খোলসে যথাক্রমে Periostracum, Prismatic ও Nacreous নামের তিনটি প্রধান স্তর থাকে যার সবচেয়ে ভেতরের স্তরটির নাম Nacreous। এই Nacreous স্তরটিকে “Mother of Pearl” বলা হয় কারণ এখান থেকেই মুক্তা তৈরির উপাদান Nacre নিঃসৃত হয় যা ক্যালসিয়াম কার্বনেট ও কংক্রিওলিন নামের প্রোটিন দিয়ে তৈরি । ঝিনুকের দেহে ম্যান্টল টিস্যু (Mantle tissue)  নামের একপ্রকারের বিশেষ টিস্যু থাকে। এই ম্যান্টল টিস্যুতে যখন কোন বাহ্যিক বস্তুকণা, ক্ষুদ্র প্রাণি  বা অণুজীব প্রবেশ করে তখন