পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অদূরেই সমুদ্র হতে চলেছে প্লাস্টিকের নগরীঃ

ছবি
প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে প্লাস্টিকের ব্যবহার কিন্তু পুনঃচক্রায়ন হার যে হারে বাড়ার কথা সে হারে বাড়ছে না। এসব অব্যবহৃত প্লাস্টিক নদীনালা পাড়ি দিয়ে  শেষ গন্তব্য হচ্ছে সমুদ্র। প্লাস্টিক কোন জৈব বর্জ্য নয় তাই ক্ষয় হতে সময় লাগে কয়েকশো বছর। কিন্তু এই বিশাল সময় ব্যবধানে তারা জলজ তথা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের কি পরিমাণ হানি করে যাচ্ছে তা বলে বোঝানো অসম্ভব। এই প্লাস্টিক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পানিতে ভাসমান হওয়ায় তা যেকোন জলাশয়ের উপরে একটি আবরণের সৃষ্টি করে। এর ফলে সেখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে না পেরে জলজ উদ্ভিদকণার সালোকসংশ্লেষণ ব্যহত করে যার ফলস্বরুপ অন্যান্য জলজপ্রাণীর জীবণধারণের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেনের যোগান হয়না ঠিকমতো। তাছাড়া সমুদ্রে বাস করা তিমি, হাঙ্গরসহ আরো নানা প্রজাতির বড় মাছের পেটে খাবারের সাথে প্রবেশ করছে প্লাস্টিক বর্জ্য যার ফলে প্রায়সময়ই এদের মৃতদেহ সমুদ্রতীরে ভেসে আসতে দেখা যায়। পানি চলাচলের পথে প্লাস্টিক বর্জ্যের স্তুপের কারণে নদীনালা সহ অন্যান্য জলাশয়ের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুনতে অবাক লাগলেও এমনকি খাদ্য লবণ বিশ্লেষণ করেও ন্যানোপ্লাস্টিকের সন্ধান পাওয়া গেছে যা

সুস্থ থাকতে চান? সামুদ্রিক মাছ খান………

ছবি
বর্তমান সময়ে হার্টের বিভিন্ন অসুখ ও জটিলতা সারাবিশ্বে প্রায় মহামারী আকার ধারণ করে আছে যার একটি প্রধান কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস। দৈনন্দিন জীবণে আমরা যেসব রুচিদায়ক খাবার বিভিন্ন স্থানে খেয়ে থাকি তাতে দুই ধরণের কোলেস্টেরল থাকতে পারে- ১) গুড কোলেস্টেরল (High-density lipoprotein), যেটি অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বিকে করোনারি আর্টারি (Coronary artery) ও দেহকোষ থেকে লিভার এ এনে জমা করে, ২) বেড কোলেস্টেরল (Low-density lipoprotein), যেটি লিভার থেকে ফ্যাট বা চর্বিকে করোনারি আর্টারি ও দেহকোষে স্থানান্তর করে থাকে। যারা অতিরিক্ত রেড মিট (Red meat) যেমন গরু, ছাগলের মাংস ও অধিক তেলযুক্ত খাবার খেয়ে থাকে তাদের শরীরে বেড কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়তে থাকে যার ফলে লিভার থেকে ফ্যাট করোনারি আর্টারিতে জমা হয় এবং প্লাক (Plaque) সৃষ্টি করে নালী গুলোকে সংকুচিত করে হার্টে রক্ত ও অক্সিজেন পরিবহনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। এটিকে মেডিকেল সায়েন্সে বলা হয় “Atherosclerosis”। এধরণের সমস্যার ফলে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইল্যুরসহ নানা ধরণের করোনারি (Coronary) ও কার্ডিওভাস্কুলার (Cardiovascular) জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া বেড

অ্যান্টিবায়োটিক বনাম ইমিউনোস্টিমুলেন্ট, অ্যাকুয়াকালচার ও পোল্ট্রিখাতেঃ

ছবি
বর্তমানে মৎস্য, পোল্ট্রি খামার সবখানেই আলোচিত একটি ত্রাসের নাম হলো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার। মৎস্য ও পোল্ট্রি খাতে অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় সাধারণত ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগবালাই থেকে প্রতিকার ও মড়ক থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য। ভেটেরিনারি ও অ্য্যকুয়াকালচার সেক্টরে পরিচিত কিছু অ্যন্টিবায়োটিক হলো Cephalosporins , Penicillin G , Erythromycin , Amoxicillin , Tilmicosin Phosphate , Spectinomycin , Chloramphenicol , Chlortetracycline , Oxytetracycline , Tetracycline , Sarafloxacin ইত্যাদি। প্রত্যেক প্রাণির দেহে অ্যান্টিবায়োটিকসমূহ ব্যাক্টেরিয়ার ধরণ, ব্যাপ্তি, বিস্তৃতি  ইত্যাদি অনুসারে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা ও সময়কাল ধরে প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু এই অ্যান্টিবায়োটিকের নির্ভুল ও পরিমাণমত ব্যবহার সবক্ষেত্রে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়না যার ফলস্বরুপ আমাদের ভুগতে হয় নানান শারীরিক সমস্যায়। বিশেষত, মাছ চাষের ক্ষেত্রে যখন কোন অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয় তখন তা আক্রান্ত এবং সুস্থ উভয় ধরণে্র মাছেই খাদ্য বা মেডিসিনের মাধ্যমে প্রবেশ করে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ব্যবহৃত এসব অ্যান্টিবায়োটিক মাছ বা মু