সমুদ্রসম্পদের নতুন দিগন্ত সী-উইড


প্রকৃতির এক বিশাল সম্পদভান্ডার হলো সমুদ্র বাংলাদেশে সমুদ্রজাত সম্পদের রয়েছে অপার সম্ভাবনা যার সিংহভাগই আমাদের অজানা সী-উইড বা সমুদ্র শৈবাল এমনই এক অতি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র সম্পদ সী-উইড হলো একপ্রকার সামুদ্রিক অ্যালজি যেটি সমুদ্রের অল্প গভীরতায় শক্ত বা পাথুরে অবলম্বনে জন্ম নেয় এবং বেড়ে ওঠে সী-উইড অতি আদিম প্রজাতির উদ্ভিদ যাদের সত্যিকারের শিকড়, কান্ড ও পাতা নেই এবং তারা হোল্ডফাস্ট নামক প্রত্যঙ্গের সাহায্যের তলদেশের সাথে লেগে থাকে সামুদ্রিক প্রাণিদের খাবারের উৎস ও বাসস্থান প্রদান করে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে সী-উইড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তাছাড়া নিউট্রিয়েন্ট বায়োএক্সট্রাকশন ও বাফারিং এর মাধ্যমে সী-উইড পানির নিউট্রিয়েন্ট এর ভারসাম্য রক্ষা করে প্রধানত লাল, সবুজ ও বাদামী এই তিন রঙের সী-উইড পাওয়া যায় সমুদ্রে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে মোট ২২১ টি  প্রজাতির বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সী-উইড পাওয়া যায় এদের মধ্যে প্রায় ১৪৫ টি প্রজাতি খাবার হিসেবে এবং ১১০ টি প্রজাতি অ্যাগার বা ফাইকো-কলয়েড তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন উপকূলে ১০২ টি গ্রুপের প্রায় ২১৫ প্রজাতির সী-উইড পাওয়া যায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট এর গবেষকরা  উপকূলীয় এলাকায় ১১৬ প্রজাতির সী-উইডের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন স্বচ্ছ পানি পাথুরে তলদেশ এর কারণে সেন্ট মার্টিন সী-উইডের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকা বলে বিবেচিত হয় তাছাড়াও টেকনাফ, বাকখালী, ইনানী, কুয়াকাটা এবং সুন্দরবনেও সী-উইডের বিস্তৃতি লক্ষ করা গেছে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সী-উইড এর প্রজাতির মধ্যে রয়েছে Caulerpa racemosa, Enteromorpha sp, Gelidiella tenuissima, Gelidium pusillum, Halymenia discoidea, Hypnea pannosa, Hydroclathrus clathratus, Sargassum sp ইত্যাদি
১৬৭০ খ্রিষ্টাব্দে জাপানের টোকিও তে প্রথম সী-উইড এর চাষ শুরু হয় এবং ১৯৪০ সাল নাগাদ বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ জনপ্রিয় হয় জাপানের পাশাপাশি ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং অন্যান্য এশিয়ান দেশসমূহে সী-উইড এর চাষ বিস্তৃতি লাভ করে জাপান প্রতিবছর দুই বিলিয়ন ইউএস ডলার সমমূল্যের সী-উইড উৎপাদন করে থাকে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সী-উইডের বার্ষিক চাহিদা ২৬ মিলিয়ন টন যার শতকরা ৮০ ভাগই এশিয়া মহাদেশে উৎপন্ন হয় চীন একাই বর্তমান চাহিদার অর্ধেক পরিমাণ সী-উইড উৎপাদন করে বর্তমানে বিশ্বে সী-উইড উৎপাদনে ছয়টি শীর্ষ দেশ হলো চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, উত্তর দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান বাংলাদেশে চাষকৃত সবচেয়ে পরিচিত সী-উইড হলো Hypnea sp  যা একপ্রকারের রেড অ্যলজি এর উচ্চমাত্রায় তাপমাত্রা, লবণাক্ততা এবং আলোর তীব্রতা সহ্য করতে পারার ক্ষমতা একে ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় সমুদ্র উপকূলে চাষের উপযোগী করে তুলেছে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রধানত লং লাইন বা রোপ, ভাসমান র‍্যাক, ভাসমান ও স্থায়ী খাঁচা এবং হ্যাঙিং বা ঝুলন্ত নেট এসব কাঠামোতে সী-উইড চাষ করা হয়। অফ বটম বা তলদেশ থেকে উপরে এবং অন বটম বা তলদেশের সাথে সংযুক্ত এই দুই পদ্ধতিতেই সী-উইড চাষ করা হয়। সী উইড চাষ করার জন্য ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, শক্ত বা পাথুরে তলদেশ, লবণাক্ত ও মোটামুটি স্বচ্ছ পানি এবং পানির উপযুক্ত পরিচলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য ফসল চাষের তুলনায় সী-উইড চাষের খরচ তুলনামূলকভাবে কম কারণ এখানে কোন সার, কীটনাশক দেখাশোনার খরচ এর প্রয়োজন হয়না পরীক্ষামূলকভাবে দেখা গেছে উপযুক্ত পরিবেশে কাঠামো নির্মাণ করে আমাদের দেশে প্রতি চার বর্গ মিটার মাত্র ১২০০ টাকা ব্যয় করে প্রতি ১৫ দিনে ৬০ থেকে ৮০ কেজি সী-উইড উৎপাদন সম্ভব প্রতি বছরে ছয় মাস সী-উইড চাষ করা সম্ভব এবং সী-উইডের বৃদ্ধি খুবই দ্রুত হওয়াতে প্রতি মাসে দুইবার সংগ্রহ করা যায় প্রতি বর্গ মিটারে সী-উইড উৎপাদন এর গড় খরচ ২০০ টাকা এবং উৎপাদিত সী-উইড এর মূল্য গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা বলা হয়ে থাকে যে যদি ১০০ একর এলাকাজুড়ে সী-উইড চাষ করা হয় তবে ওই পরিমাণ সী-উইড দিয়েই একটি প্রসেসিং ফ্যাক্টরি চালানো সম্ভব সী-উইড প্রধানত শুকনো অবস্থাতে খাদ্য হিসেবে অধিক জনপ্রিয় ২০০ কেজি সী-উইড শুকিয়ে ৪০ কেজি শুকনো সী-উইড পাওয়া যায় প্রতি মণ শুকনো সী-উইড এর দাম ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা যেখানে প্রতি মণ কাঁচা সী-উইডের দাম  ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার কারণে অন্যান্য ফসল চাষ করা দুষ্কর তাই সেখানে সী-উইডের চাষ হতে পারে খুবই লাভজনক
সী-উইড রয়েছে উন্নত মানের পুষ্টিগুণ প্রায় সব ধরণের ভোজ্য সী-উইডে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, কপার, আয়রন সহ প্রচুর খনিজ পদার্থ সী-উইড খুব কম ক্যালরি ফ্যাট সমৃদ্ধ এবং প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন (ভিটামিন C, D, E, K এবং ফলিক এসিড) এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস সী উইড এ ক্যালসিয়ামের পরিমাণ গরুর দুধের চেয়ে দশগুণ বেশি এবং একইসাথে ভিটামিন D উপস্থিত থাকার ফলে ক্যালসিয়ামের আত্তীকরণ ভালো হয় অতি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড থাকার কারণে সী-উইডের প্রোটিন অত্যন্ত উন্নতমানের হয় সী-উইড অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের ভালো উৎস যা হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে সী-উইড এ রয়েছে  প্রয়োজনীয় এনজাইম যা ভালো হজমে সাহায্য করে সী-উইড এ থাকা উপাদানসমূহ উচ্চ রক্তচাপ, কোলস্টেরল, টিউমার, গলগন্ড ও স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কিছু প্রজাতির সী-উইড এর ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকার প্রমাণ রয়েছে
সী-উইড থেকে অ্যগার মিডিয়া, প্রয়োজনীয় ঔষধ, সংরক্ষণযোগ্য খাদ্য উপকরণ, প্রসাধণী এবং খাবার কাপড়ের রঙ তৈরি করা হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সী-উইড সমূহ কাগজ কাপড়, ইমালসিফায়ার, জেল ঘনীকরণ পাওডার, আঠা, প্যাকেটের আবরণ, সিরামিকের গ্লেজ, চামড়াজাত বস্তুর পলিশিং উপাদান এবং মৎস্য পশুখাদ্যের বাইন্ডার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় সী-উইড জৈব সার গবাদিপশুর প্রাকৃতিক উৎসজাত খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা হয় যেখানে রাসায়নিক সার অ্যান্টিবায়োটিক পূর্ণ পশুখাদ্যে  বিশ্ব জর্জরিত, সী উইডের ব্যবহার সেখানে নিশ্চিত করতে পারে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উৎসের খাবার সার আমাদের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী মাছ,শুটকি অন্যান্য সবজির সাথে সী-উইড রান্না করে খায় তাছাড়া তারা স্যুপ, সস, পিঠা, সালাদ, চানাচুর এসব তৈরিতেও সী-উইড ব্যবহার করে থাকে
বাংলাদেশে সী-উইডের চাষ এর প্রসার এর লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (BARI) এর খামার ভিত্তিক গবেষণা বিভাগ এর আওতায় নুনিয়াছড়া এলাকার কৃষকদের সী-উইড চাষের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে যেখানে মুলত Hypnea sp এর চাষ করা হয় পূর্বে সী-উইড সংগ্রহের সময় চাষীরা বীজ বের করে নিতো ফলে পরে সেগুলোর আর বৃদ্ধি হতো না কিন্তু ট্রেনিং এর পরে তারা সেটি থেকে বিরত থাকায় সী-উইডের বৃদ্ধি ভালো হচ্ছে বলে জানা গেছে কক্সবাজারে অবস্থিত  সী-উইড ল্যাবরেটরীতে সী-উইডের টিস্যু কালচার এবং সী-উইডের বীজ উৎপাদন সহ অন্যান্য গবেষণা চলমান রয়েছে গত বছর বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইকোনমিস্ট এসোসিয়েশন (BAEA) এর ‘Potential of Blue Economy in Transforming Future Bangladesh’  শীর্ষক আলোচনায় বাংলাদেশে ব্লু- ইকোনমি ব্লু- বায়োটেকনোলজি এর প্রসারে সী- ইউডের সম্ভাব্য ভূমিকা বিশেষ গুরুত্ব পায় তাছাড়া ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফ ) এর প্রজেক্ট Technical Cooperation Programme (TCP) বাংলাদেশে সী-উইডের বর্তমান উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাত ও রপ্তানির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে এবং সী-উইডের চাষ ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন ও একটি জাতীয় নীতিমালা ও অবকাঠামো নির্ধারণে ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭১০ কিমি এর উপকূলীয় এলাকা এবং ,১৮,৮১৩ বর্গ কিমি এর সমুদ্রসীমার আমাদের বাংলাদেশের রয়েছে সী-উইড উৎপাদনের সমূহ সম্ভাবনা বাংলাদেশে সী-উইডের চাষ জোরদার করলে তা দেশের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব সী-উইডের চাষ প্রক্রিয়াজাতকরণ বেকারদের কর্মসংস্থানের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে বিশেষভাবে মহিলাদের জন্য সী-উইডের চাষ একটি লাভজনক ক্ষেত্র তৈরি করবে ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফ ) এর ২০১৪ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী সী-উইড চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় . বিলিয়ন ইউ এস ডলার আয় করতে পারেমলাঙ্ক, চিংড়ী কাঁকড়া সামুদ্রিক মাছের সাথে সী-উইডের পলিকালচার করার উত্তম সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ীর সাথে সী-উইডের সমন্বিত চাষ করার মাধ্যমে চিংড়ী চাষের বর্জ্য প্রাকৃতিকভাবেই পরিশোধন সম্ভব আমরা প্যাথলজি এবং মেডিসিন ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে টন পরিমাণে আগার আমদানি করে থাকি যা আমাদের দেশীয় সী-উইড থেকেই উৎপাদন সম্ভব এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব আমাদের দেশে যদি কাপড় কাগজ তৈরিতে চাষকৃত সী-উইড ব্যবহার করা যায় তবে তা কাপড় কাগজশিল্পের জন্য বনভূমি ধ্বংস রোধে হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ১৯ টি জেলার কোটির অধিক মানুষ তাদের জীবণযাত্রার জন্য সমুদ্রের উপর নির্ভরশীল তাদের জীবণযাত্রার মান উন্নয়ন প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য প্রচলিত সমুদ্র সম্পদের পাশাপাশি অপ্রচলিত সমুদ্র সম্পদের কাঙ্ক্ষিত আহরণ চাষ এখন সময়ের দাবি বর্তমানে শুরু করা সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের উপর নির্ধারিত নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সী-উইডের চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে অদূর ভবিষ্যতে চিংড়ীর পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় সী-উইড এর একটি বড় সম্ভাবনাময় খাতের সৃষ্টি হবে

ব্যাপক সম্ভাবনাময় সী-উইড এর চাষ প্রসারিত করতে হলে বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে যেমন সঠিক তথ্য উপাত্তের অভাব, প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির সংকট, আর্থসামাজিক প্রতিকূলতা, দক্ষ জনশক্তির অবমূল্যায়ন, অভিজ্ঞ চাষী উদ্যোক্তার অভাব, প্রয়োগমূলক গবেষণার অপর্যাপ্ততা, খাদ্য হিসেবে সী-উইডের গ্রহণযোগ্যতা ইত্যাদি অপ্রচলিত সমুদ্রসম্পদ সী-উইড কে বহুল প্রচলিত লাভজনক সমুদ্র সম্পদে পরিণত  করতে উন্নত চাষ ব্যবস্থাপনা প্রয়োগমূলক গবেষণার প্রয়োজন সী-উইড এর দেশীয় আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টির জন্য গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে সী-উইড চাষের জন্য উপযোগী এলাকা চিহ্নিতকরণ, কাঠামো তৈরি চাষের জন্য ট্রেনিং প্রদান, এলাকাভিত্তিক সার্ভে টিম গঠন, বীজ উৎপাদন টিস্যু কালচার প্রসারিত করা, প্রক্রিয়াজাত বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা প্রণয়ন, সী-উইডের অর্থনৈতিক গুরুত্ব জনসমক্ষে প্রচার করা ইত্যাদি এছাড়াও ফিশারিজ সেক্টরের বিভিন্ন উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা সী-উইডের প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি তৈরির উদ্যোগ নিলে সী-উইডের ব্যবহার রপ্তানি বহুলাংশে বৃদ্ধি করা যাবে যা বাংলাদেশের ব্লু- ইকোনমি কে আরো কয়েক ধাপে সমৃদ্ধ করবে
-অন্তর সরকার
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঝিনুক থেকে মুক্তা তৈরির রহস্য.......

মাছ, পোল্ট্রি, প্রাণিখাদ্য ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্ল্যাক সোলজার মাছির (Black soldier fly) লার্ভা:

মাছের আঁইশের নানাবিধ ব্যবহারঃ