ফিশারিজ জানা-অজানাঃ (পর্ব-১)
- দেশের প্রাণিজ আমিষের ৬০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয় এখান থেকে।
- বিশ্বের শীর্ষ চাষের মাছ উৎপাদনকারী দেশ যথাক্রমে চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ।
- বাংলাদেশ যখন চতুর্থ অবস্থানে ছিল, তখন (২০১২ সালের পরিসংখ্যান) চাষের মাছের উৎপাদন ছিল ১৭ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন। অর্থাৎ প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন বাড়লেও অবস্থানে এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ।
- জনসংখ্যার ১১ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাতটি ৮৪ মিলিয়ন টন মাছ রপ্তানি করে প্রতিবছর আয় করছে ৪ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা।
- জিডিপিতে অবদান রাখছে প্রায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
- দেশে পুকুরে প্রতি হেক্টর জমিতে ৪ হাজার ৬০০ কেজি মাছ হয়।
- পৌনে চার লাখ হেক্টর আয়তনের পুকুর ও ৯ হাজার ৬০ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমার দেড় কোটি মাছচাষির কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী অপার সম্ভাবনাময় খাত
- গত ১০ বছরে বাংলাদেশের চাষের মাছের উৎপাদন দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এ উৎপাদন প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টন।
- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে ৩৮ লাখ ৩২৪ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে চাষের মাছের পরিমাণ ২২ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন।
- দেশে উৎপাদিত মাছের প্রায় ২০ শতাংশ আসে রুই-কাতলা থেকে। এ ছাড়া ১৩ শতাংশ পাঙাশ, ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ ইলিশ, প্রায় ১০ শতাংশ তেলাপিয়া থেকে আসে।
- চিংড়ি চাষের জন্য ব্যবহূত খামারের মোট আয়তন ২,১৭,৮৭৭ হেক্টর এবং ২০০৬-০৭ সালে মোট উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১,২৯,১৬০ মে টন।
- একোয়াকালচার ভ্যালু-চেইনে বিভিন্ন নামে প্রায় ২৫ ধরনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
- বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫টি কেন্দ্র ও ৫টি উপকেন্দ্র রয়েছে যেখানে একোয়াকালচার গবেষণার পৃথক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো উপস্থিত।
- ফিশারিজে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও কেরালাতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে একোয়াকালচারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে।
- ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চতর একোয়াকালচার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি চালু করেছে।
- ভিয়েতনাম মত্স্য চাষে অন্যতম শীর্ষ দেশ হিসেবে একোয়াকালচারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।
- দক্ষিণ ভারতে রাজীব গান্ধী সেন্টার ফর একোয়াকালচার ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- উড়িষ্যাতে সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ফ্রেশওয়াটার একোয়াকালচার নামে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান একোয়াকালচার গবেষণায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
- ভিয়েতনাম সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা অনুযায়ী রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর একোয়াকালচার নামে তিনটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। (......চলবে)
তথ্য- বিডিফিশ, BFRI, FAO, প্রথম আলো, Sciencedirect, Elsevier
অন্তর সরকার
ফিশারিজ ২য় বর্ষ,
"চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়"
Ø
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন